জনপ্রিয় সংবাদ
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মাহাথির মোহাম্মদের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
- বাংলাদেশ
- ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
নওগাঁয় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
বিএনপির দলছুট সাত্তারকে জেতাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন আ.লীগের তিন নেতা
- বাংলাদেশ
- ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মার্কিন তালিম নিয়ে মেয়র দেশে ফিরলে মশক নিধনে নতুন সিদ্ধান্ত
সর্বশেষ ভিডিও
- জীবনযাপন
- ০২ নভেম্বর, ২০২৩
বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ার ব্যথা হলে করণীয় কী
ডিজিটাল এই যুগে আমরা মুঠোফোন নিয়ে সারা দিন ব্যস্ত থাকি। শিশু থেকে বড়—সবাই রয়েছেন এই কাতারে। পেশাগত কাজ, বার্তা লেখা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার থেকে শুরু করে গেম খেলা—সবই চলে এই যন্ত্রে।
সমস্যা হলো, এসব কাজ বেশি করার কারণে বৃদ্ধাঙ্গুলির বারবার নড়াচড়া হয়। যা কবজি বা বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ার দিকে তীব্র ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে এই সমস্যার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ‘গেমারস থাম্ব’।
অন্যদিকে শিশুকে বারবার কোলে নিতে ও পরিচর্যা করতে গিয়ে নতুন মায়েদের এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, এসব করতে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কবজির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। এ ছাড়া গলফ খেলা, পিয়ানো বাজানো, দীর্ঘক্ষণ টাইপিং, যেকোনো ধরনের মিস্ত্রি ও কাপড় নিংড়ানোর মতো কাজে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আবার বাতের সমস্যার কারণে স্কার টিস্যু ফরমেশনের জন্য এমনটি হয়। গর্ভকালেও এ ধরনের ব্যথা হতে পারে। ১৮৯৫ সালে সুইস সার্জন ডিকোরভেইন বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ার বা কবজির দিকে তীব্র ব্যথা ও লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া বা প্রদাহ হওয়ার নাম দেন ডি-কোয়ার্ভেইন টেনোসাইনোভাইটিস (ডিকিউটি)। এর মূলে থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলির মাংসপেশির টেনডনের (রগ) ব্যথা।
লক্ষণ
প্রধান লক্ষণের মধ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলির গোড়ালির দিকে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া অন্যতম। অন্যান্য লক্ষণ হচ্ছে হাত ও কবজি নাড়ানোর সময় বা মুষ্টি করলে ব্যথা অনুভূত হওয়া। কোনো কিছু ধরার শক্তি কমে যাওয়া।
শনাক্ত
হাতের তালুর মধ্যে বৃদ্ধাঙ্গুলি রেখে ও বাকি আঙুল দিয়ে মুষ্টি করে কনিষ্ঠ আঙুলের দিকে হাত বাঁকালে যদি বৃদ্ধাঙ্গুলের গোড়ার দিকে ব্যথা অনুভূত হয়, তাহলে তা ডিকিউটির প্রবণতা হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।
করণীয়
- হ্যান্ড থেরাপিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত হাতের ব্যায়াম করুন।
- কাজের ধরন পরিবর্তন করুন।
- এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কর্টিকো স্টেরয়েড ইনজেকশন ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি মেডিকেশন (এনএসএআইডি) কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাতের ফোলা ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- বৃদ্ধাঙ্গুলি বারবার ব্যবহার করতে হয় বা হাতের কবজি ঘুরাতে হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলুন। যেমন জোরে জোরে কাপড় নিংড়ানো, বৃদ্ধাঙ্গুলি সোজা রেখে ব্যাগের মুখ লাগানো, হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাঁড়ি-পাতিল মাজা ইত্যাদি।
- হ্যান্ড থেরাপিস্টের দেওয়া স্প্লিন্ট বা ব্রেস নিয়মিত পরুন, যা হাতের কবজির অস্বাভাবিক নড়াচড়া বন্ধ করতে সাহায্য করবে এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি ও কবজির বিশ্রাম নিশ্চিতকরণে সহায়তা করবে।
- নুপুর বিনতে লিলি, সিনিয়র ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট, সিআরপি