জনপ্রিয় সংবাদ
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মাহাথির মোহাম্মদের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
- বাংলাদেশ
- ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
নওগাঁয় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
বিএনপির দলছুট সাত্তারকে জেতাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন আ.লীগের তিন নেতা
- বাংলাদেশ
- ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মার্কিন তালিম নিয়ে মেয়র দেশে ফিরলে মশক নিধনে নতুন সিদ্ধান্ত
সর্বশেষ ভিডিও
- জীবনযাপন
- ২৮ নভেম্বর, ২০২৩
ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় ভিটামিন
একেক ভিটামিন ত্বকে একেক উপকার বয়ে আনে। এ জন্য সব ধরনের ভিটামিনজাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। পরামর্শ দিয়েছেন বারডেম হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন নাহার আলো।
ত্বক সুস্থ ও সুন্দর রাখতে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন না পেলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়ে, চামড়া কুঁচকে যায়, ত্বক বিবর্ণ দেখায়, ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবে ত্বকে নানা রকম সমস্যা বা রোগও হতে পারে। আমাদের প্রতিদিনের খাবার থেকেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন পাওয়া যায়।এ জন্য রোজ পাতে ফলমূল, শাক-সবজি, ডাল, মাছ, মাংস রাখতে হবে।
সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
ভিটামিন-এ
সুস্থ ও তারুণ্যদীপ্ত ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-এর অভাবে ত্বক রুক্ষ, খসখসে ও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে।
ত্বকের লাবণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে ভিটামিন-এ।
ত্বকের কালচে দাগ ও কালো ছোপ দূরে রাখতে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দাগহীন ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ দারুণ কার্যকর। ব্রকোলি, পালংশাক, মিষ্টি আলু, ফলমূল, ডিম, দুধ, চর্বিযুক্ত মাছ ও রেডমিটে ভিটামিন-এ রয়েছে।
ভিটামিন-বি
সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে ভিটামিন-বি।এজন্য সানস্ক্রিনের মধ্যেও এই ভিটামিন দেওয়া থাকে। এ ছাড়া বিভিন্ন অ্যালার্জির হাত থেকেও রক্ষা করে ভিটামিন-বি।
ভিটামিন-বি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ, ঢেঁকিছাঁটা চাল, কলিজা, দুধ, গাজর, টমেটো, গ্রিন টি ইত্যাদিতে ভিটামিনি-বি রয়েছে।
ভিটামিন-সি
ভিটামিন-সি-এ প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যা ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে কাজে দেয়।
শুধু তা-ই নয়, কোলাজেনের বৃদ্ধি ঘটায়। এতে ত্বক টান টান ও সতেজ থাকে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। সব ধরনের টক ফল, লেবু, কমলা, মালটা, টমেটো, শসা ও সবুজ শাক-সবজি ভিটামিন-সি দেয়।
ভিটামিন-ডি
ভিটামিন-ডি-এর অভাবে ত্বকে অতিরিক্ত শুষ্কতা দেখা দেয়। ত্বক ফ্যাকাসে ও বিবর্ণ হয়ে পড়ে। সহজে ত্বকের ক্ষত শুকাতে চায় না। একজিমা, সোরিয়াসিস হতে পারে। স্যামন, টুনা, পনির, ডিম, মাশরুম, সয়া, দুধ, অ্যাভোকাডো, চিকেন এবং পিনাট বাটারের মতো চর্বিযুক্ত খাবার থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। প্রতিিদন কিছু সময় সকালে সূর্যের অালোতে বসে থাকলেও ভিটামিন-ডি পাওয়া যাবে।
ভিটামিন-ই
ত্বকে অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে ভিটামিন-ই। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও রক্ষা করে ভিটামিন-ই।
ভিটামিন-ই-এর অভাবে চুল পড়ে এবং ত্বকে দ্রুত বলিরেখা দেখা দেয়। আর্দ্রতা হারিয়ে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। ভিটামিন-ই ত্বককে সজীব ও লাবণ্যময় করে তোলে। বাদাম, জলপাই, উদ্ভিজ্জ তেল, শাক-সবজি, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি থেকে ভিটামিন-ই পাওয়া যায়।
ভিটামিন-কে
ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে ভিটািমন-কে। ত্বকের অবাঞ্ছিত নানা দাগ, ছোপ ছোপ দাগ, লালচে দাগ কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন-কে। চোখের নিচের ডার্ক সার্কল দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ত্বকে কোনো ক্ষত বা কালশিটে দাগ নিরাময়েও দারুণ কার্যকর ভিটামিন-কে। ব্রকোলি, বাঁধাকপি ও পালংশাক প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে রয়েছে।