জনপ্রিয় সংবাদ
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মাহাথির মোহাম্মদের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
- বাংলাদেশ
- ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
নওগাঁয় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
বিএনপির দলছুট সাত্তারকে জেতাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন আ.লীগের তিন নেতা
- বাংলাদেশ
- ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মার্কিন তালিম নিয়ে মেয়র দেশে ফিরলে মশক নিধনে নতুন সিদ্ধান্ত
সর্বশেষ ভিডিও
- জীবনযাপন
- ১৬ নভেম্বর, ২০২৩
হঠাৎ ছাড়া যাবে না ঘুমের ওষুধ, কেন তা জানুন
রাতের পর রাত ঘুমানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে অনেকে ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। কিছুদিন পর আবার ছেড়েও দেন। এতে দেখা দেয় নানা ধরনের উপসর্গ।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ
সুস্থ থাকতে চাইলে টানা সাত-আট ঘণ্টা ঘুমানোর কোনো বিকল্প নেই।
নিয়মিত ঘুমের অভাবে বাড়ে উচ্চ রক্তচাপ। এতে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে হতে পারে স্ট্রোক। তাই অনিদ্রা দূর করতে কিছু নিয়ম মানা যেতে পারে। যেমন—ঘুমানোর আগে ডিভাইসের ব্যবহার বন্ধ রাখা, রাতের খাবার ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে খাওয়া এবং ঘুমাতে যাওয়ার দুই-তিন ঘণ্টা আগে জটিল কোনো কাজ, অতি গুরুত্বপূর্ণ আলাপ বা চিন্তা-ভাবনা না করা।
এসব নিয়ম মেনে চলার পরও অনিদ্রায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শে অনেক সময় রোগীকে ঘুমের ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগসহ নানা কারণে ব্যক্তি বিশেষে ওষুধ দিতে পারেন ডাক্তার। তবে কথা হলো, অনেকে হঠাৎ করে তা ছেড়ে দেন; আবার মনে হলে ধরেন। এটা করা অনুচিত।
ওষুধের ডোজ বাড়ানো বা কমানো সব কিছু করতে হয় ডাক্তারের পরামর্শে।
প্রত্যাহার উপসর্গ
নিয়ম মেনে ওষুধ গ্রহণ না করলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। একে বলা হয় প্রত্যাহার উপসর্গ। এগুলো প্রাণঘাতী নয় তবে নাছোড়, স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটায়। যেমন—
* অনিদ্রা
* প্রলাপ বকা
* খিঁচুনি
* বদ মেজাজ
* ঘাম
* বিষণ্নতা
* হতবুদ্ধি ভাব
* কাঁপুনি
এ ছাড়া হতে পারে রিবাউন্ড ইনসোমনিয়া।
অর্থাৎ ঘুমের ওষুধ ছাড়ার পর অনিদ্রা ফিরে আসে। ওষুধের ওপর শরীর নির্ভরশীল হওয়ার পড়ার কারণে এমনটা ঘটে।
করণীয়
ঘুমের ওষুধ ছাড়ার এক সপ্তাহ পর থেকে প্রত্যাহার উপসর্গ বাড়তে থাকে। ঘুমের ওষুধ ছাড়তে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ধাপে ধাপে ঘুমের ওষুধের মাত্রা কমিয়ে দেবেন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ডিটক্স।
তাই মনে রাখবেন, ওষুধ খেতে হলে যেমন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন, তেমনি ছাড়তে হলেও বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকা জরুরি। নয়তো ঘুমের সমস্যার সঙ্গে আরো কিছু উপসর্গ দেখা দেবে।