জনপ্রিয় সংবাদ
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মাহাথির মোহাম্মদের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
- বাংলাদেশ
- ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩
নওগাঁয় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- রাজনীতি
- ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩
বিএনপির দলছুট সাত্তারকে জেতাতে সরে দাঁড়াচ্ছেন আ.লীগের তিন নেতা
- বাংলাদেশ
- ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩
মার্কিন তালিম নিয়ে মেয়র দেশে ফিরলে মশক নিধনে নতুন সিদ্ধান্ত
সর্বশেষ ভিডিও
- জীবনযাপন
- ১২ নভেম্বর, ২০২৩
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে হতে পারে বিপদ
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার রোগের চিকিৎসাকে সহজতর করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুও হয়েছে স্মার্ট ও শক্তিশালী। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় শক্তিশালী অনেক ওষুধকে অকার্যকর করার জন্য জীবাণুরাও নিজেদের করেছে উন্নত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা মতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স তখন বলা হয়, যখন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ও অন্যান্য পরজীবী জীবাণু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ তাদের আর ধ্বংস করতে পারে না।
এতে যেকোনো সংক্রমণের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং জটিল ও প্রাণঘাতী রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
কারণ
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও এর জন্য অনেক কারণ দায়ী। আর সেগুলো হচ্ছে :
- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের যথেচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় ও অতি ব্যবহার।
- সঠিক রোগ নির্ণয়ের আগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা।
- অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক মাত্রা ও ব্যবহার কাল নিশ্চিত না করা।
- প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ধরনের ওষুধের ক্রয়-বিক্রয়।
- জনগণ ও ওষুধ বিক্রেতা উভয়ের অজ্ঞতা।
- যথাযথ আইনের অভাব ও বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের অভাব।
- পশু খাদ্য, মৎস্য খাদ্য ও কৃষিতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল জাতীয় ওষুধের লাগামহীন ব্যবহার।
- হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোয় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধের অপ্রতুল ব্যবস্থা।
করণীয়
- শুধু রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ মতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
- চিকিৎসককে অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রিপশন করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা যাবে না।
- ওষুধের মাত্রা ও সেবনকাল সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে।
- রোগের লক্ষণ এক হলেও একজনের বেঁচে যাওয়া বা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক যেন অন্যজনের সেবন না করা।
- সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা।
- যেসব প্রতিষ্ঠানের অ্যান্টিবায়োটিক সমৃদ্ধ মাছের খাবার, পোলট্রি ফিড ব্যবহার করা হয় তাদের বর্জন করা।
- রোগের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রটোকল সঠিকভাবে মানতে হবে।
- শুধু সঠিকভাবে রোগ নির্ণয়ের পরই সঠিক মাত্রায়, প্রয়োজনীয় জীবাণুরোধক ওষুধ প্রদান করতে হবে।
- রোগীকে প্রয়োজনীয় কাউন্সেলিং করতে হবে।
- অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ সংক্রমণের তথ্য সংগ্রহ এবং তা ডাটাবেইসে সংরক্ষণ করতে হবে।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ