ছোট পর্দার এই সময়ের ব্যস্ত অভিনেতাদের মধ্যে সজল অন্যতম। প্রতিদিনই তাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হচ্ছে। আজকাল এ অভিনেতাকে আগের চেয়ে বেশি বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। টিভি পর্দায় একক নাটকেই তিনি এখন বেশি অভিনয় করছেন। নির্মাতারাও তার ওপর আগের চেয়ে বেশি আস্থাশীল। নতুন বছরের শুরুতে সজল চয়নিকা চৌধুরীর নির্দেশনায় ‘সন্ধ্যার আগে’ ও ‘যে দৃশ্যের শেষ নেই’ শিরোনামের দুটি একক নাটকের কাজ শেষ করেছেন।এছাড়া তার সঙ্গে সম্প্রতি ‘এমনো তো প্রেম হয়’ শিরোনামের একটি নাটকে বাংলাদেশ মিস ওয়ার্ল্ডের আলোচিত-সমালোচিত প্রতিযোগী এভ্রিলের অভিষেক হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের কাজ প্রসঙ্গে সজল বলেন, নির্মাতারা আমার ওপর আস্থা রাখেন-একজন শিল্পী হিসেবে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া বলে মনে করছি। দর্শক এবং নির্মাতারা না চাইলে আমি কখনো কাজ করতে পারবো না। আমার কাজ দিয়ে দর্শক ও নির্মাতাদের বিশ্বাস ধরে রাখতে চাই। নতুন বছরে নিজেকে কিভাবে দেখতে চান? এই প্রশ্নের উত্তরে সজল নিজেকে আরো বেশি ভাঙ্গতে চান বলে জানান। তিনি বলেন, একজন শিল্পী নিজেকে যত ভাঙ্গতে পারে ততই তার অবস্থান শক্ত হয়। দর্শকদের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। যারা আমাকে নিয়ে কাজ করবেন তাদের কাছে চলতি বছরে আমার চাওয়া ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করার সুযোগ যেন তারা আমাকে দেন। আমি আমার নতুন নতুন কাজ দিয়ে দর্শকদের মনে থাকতে চাই। দর্শকদের বিরক্তির কোনো কারণ হতে চাই না। সজল প্রথম অভিনয় করেন ২০০৩ সালে তন্ময় তানসেনের ‘প্রেমা’ শিরোনামের একটি নাটকে। তবে তার ক্যারিয়ারের টানিং পয়েন্ট নাটক হলো আফজাল হোসেন ও তাহের শিপনের ‘হীরাফুল’ শিরোনামের ধারাবাহিকটি। এটি ২০০৬ সালের দিকে নির্মিত হয়। সেই সময় সম্পর্কে এই অভিনেতা বলেন, আমার আজকের এই অবস্থানের জন্য আফজাল আংকেলের অবদান অনেক বেশি। তিনি আমাকে ‘হীরাফুল’ নাটকটিতে সুযোগ না দিলে হয়তো আমার সজল হয়ে ওঠা হতো না। বলতে পারি তার জন্যই আমার সজল হয়ে ওঠা। মিডিয়াতে সজলের কিভাবে অভিষেক হয়? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০০০ সালে একুশে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে আমি মিডিয়ায় কাজ শুরু করি। তারপর বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছি। তবে অভিনেতা হিসেবে দর্শকদের কাছে আসার জন্য আমাকে সময় নিতে হয়েছে। এছাড়া নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছে। আগামী দশ বছর পর সজল নিজেকে কিভাবে দেখতে চান? এই অভিনেতা বলেন, আমাদের অনেক শিল্পী কালের আবর্তনে হারিয়ে গেছেন। আবার অনেক শিল্পী আছেন যাদের আমরা আদর্শ ভাবি। সত্যি বলতে তিনিই প্রকৃত শিল্পী যাকে দর্শক সবসময় চায়। যাকে একটু দেখার জন্য দর্শকদের মনে সবসময় ভালোবাসা থাকে। আমি আমার কাজ দিয়ে দর্শকদের মনে থাকতে চাই। দশ বছর পর আমার অবর্তমানে একজন দর্শক যদি আমার কাজের প্রশংসা করেন সেটিকেই আমার শিল্পী জীবনের স্বার্থকতা বলে মনে করি। দেশীয় টিভি মাধ্যমে একসময় প্রচুর সাহিত্যনির্ভর নাটক নির্মাণ হতো। কিন্তু বর্তমানে তেমন নাটক হয় না বললেই চলে। এ প্রসঙ্গে সজল বলেন, এটি অস্বীকার করার কিছু নেই। সত্যিই এখন সাহিত্যনির্ভর নাটক তেমন নির্মাণ হচ্ছে না। এর পেছনে কি কারণ কাজ করছে আমি জানি না। তবে আমি কিন্তু এ জাতীয় নাটকে কাজ করতে দারুণ আগ্রহী। এদিকে ছোটপর্দার পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিষেক হয়েছে সজলের। বর্তমানে তিনি বদিউল আলম খোকনের ‘হারজিৎ’ শিরোনামের একটি ছবিতে অভিনয় করছেন। এই ছবিতে তিনি জুটি বেঁধেছেন মাহীর সঙ্গে। ছবির শুটিং শেষের দিকে। খুব শিগগির দুটি গানের দৃশ্য ধারণের মধ্য দিয়ে ক্যামেরা ক্লোজ করা হবে বলে জানান তিনি। ছবিটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী ছোটপর্দার এই অভিনেতা। বড় পর্দার কাজ প্রসঙ্গে সজল বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র এখন আন্তর্জাতিক বাজার দখল করছে। আমাদের নতুনদের অনেকেই এখন বিশ্বমানের কাজ করছে। চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য আমারও সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে।
Post Top Ad
Responsive Ads Here

Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.