পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই প্রতিভাবান। পার্থক্য হচ্ছে কেউ তা কাজে লাগায় আর কেউ লাগায় না। প্রতিভা আসলে ব্যক্তি জীবনের মূল। এই গুণকে লালন করলে তা মানুষের জীবনকে সুন্দর করে। গুণকে বাড়িয়ে তুলতে আরও যা দরকার তা হলো- আত্মবিশ্বাস। আত্মবিশ্বাসী মানুষ জীবনে সকল ক্ষেত্রে সফলতা পান। কিন্তু আত্মবিশ্বাসী হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় কিছু বদ অভ্যাস। আত্মবিশ্বাসী হতে হলে জীবন থেকে কিছু বদ অভ্যাসকে একেবারে বিদায় জানান। জেনে নিন আত্মবিশ্বাস বাড়াতে কোন কোন বদ অভ্যাসগুলোর বদল ঘটাতে হবে আপনাকে- অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় ব্যয় করা : অপ্রয়োজনীয় কাজে অতিরিক্ত সময় নষ্ট করলে আমাদের গুণগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এতে অনেক প্রয়োজনীয় কাজেও নিজের গুণগুলো আবিষ্কার করা যায় না। যার কারণে তারা সবসময়ই নিজেকে তুচ্ছ মনে করে। সময় নষ্ট করার আফসোস আর নিজেকে তুচ্ছ মনে করা আত্মবিশ্বাস কমাতে যথেষ্ট। তাই যতটুকুই সময় পান, ভাল ও উপযুক্ত কাজে ব্যয় করুন। অন্যের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা : কোন কাজ করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন ‘কাজটা কি ঠিক হচ্ছে?’ অন্যকে জিজ্ঞেস করার আগে নিজেই বিচার করুন, সিদ্ধান্ত নিতে শিখুন। ‘নিজেকে জানুন’ কথাটা এজন্যই বলেছিলেন গ্রীক মনীষী সক্রেটিস। নইলে অচিরেই আপনি সব কাজে অন্যের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। অন্যের মতামতও আপনাকে ভোগাবে। অতীত নিয়ে চিন্তা করা : হিন্দীতে একটা কথা আছে, ‘রাত গেয়ি, বাত গেয়ি’ অর্থাৎ যা গেছে, তা গেছেই। পুরনো কথা মনে করলে তাতে কোন সুফল তো পাওয়া যায় না। বরং বয়স কম থাকতে কত ভুল করেছি এ ধরনের কথা মনে করে নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে হয় আর ভবিষ্যতে নতুন কিছু করার আত্মবিশ্বাসটা তখনই কমতে থাকে। ভবিষ্যত নিয়েও কম ভাবুন : অতীতের ভুলগুলো নিয়ে যেমন অতিরিক্ত চিন্তা করা যাবে না, ভবিষ্যতের চিন্তাও জীবনে প্রভাব ফেলতে দেবেন না। ভবিষ্যতের চিন্তা করলে এর নেতিবাচক চিন্তাগুলোই বেশি আসবে। ভবিষ্যত অনিশ্চিত একটি বিষয়। ভাল বা খারাপ পরিস্থিতির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকুন। কিন্তু দুশ্চিন্তা না করে ইতিবাচক থাকুন। অন্যের ওপর নির্ভর করতে ভয় পাওয়া : আজকাল প্রচলিত হয়ে গেছে একটা কথা- মানুষকে বিশ্বাস করা যায় না। কথাটা আংশিক সত্য হলেও পুরোপুরি নয়। আমরা অনেক সময় মনে করি, এটা আমার থেকে ভাল কেউ করতে পারবে না। অথচ অন্যকে কোন কাজ দিয়ে বিশ্বাস করার পর, সে যদি কাজটা ভাল করে করতে পারে, তাহলেও কিন্তু এর থেকে আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। নিজেকে সবসময় ছোট ভাবা : নিজেকে ছোট করে উক্তি করার স্বভাবটা নেতিবাচক। নিজেকে সবসময় ছোট ভাবাটা নেতিবাচক অভ্যাস। এতে আত্মবিশ্বাস কমে যায়। ব্রেনে প্রতিদিন এই বার্তা দিন আমি আত্মবিশ্বাসী। আমার পক্ষে সব কাজ করা সম্ভব। নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা : নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা মানুষেরা কখনও কোন কিছু নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারে না। আত্মবিশ্বাসের প্রথম শর্তই হচ্ছে নিজের ওপর নিজে সন্তুষ্ট থাকা। নিজের খুঁত নিয়ে খুতখুতে স্বভাব : সব মানুষের মাঝেই কিছু না কিছু খুঁত থাকে। সেগুলোকে নিয়ে যত বেশি নাড়াচাড়া করা হবে, ততই হীনম্মন্যতা সৃষ্টি হবে। ওগুলো নিয়ে না ভেবে নিজের গুণগুলোর দিকে মনোযোগ দেন। সেগুলোকে আরও সমৃদ্ধ কীভাবে করা যায় তাই ভাবুন। এসব বদভ্যাস ছেড়ে হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী। তবে মনে রাখতে হবে যে, অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল না। কম আত্মবিশ্বাস ক্ষতিকর। তবে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিকর অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।
Post Top Ad
Responsive Ads Here

Tags
# জীবনযাপন
Share This

About News Desk
জীবনযাপন
Labels:
জীবনযাপন
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.