বেচে থাকার জন্য খাবার প্রয়োজন আবার অনেক সময় খাবার মৃত্যুরও কারণ হয়ে দাড়ায়। নিয়মিত খাওয়া হয় এমন কিছু খাবার মানুষের মৃত্যুরও কারণ হতে পারে। চিনাবাদাম খেয়ে কেউ মরতে পারে শুনেছেন কখন? বা, দুধেও যে ঘাপটি মেরে থাকতে পারে মারণ জীবাণু, জানেন? এমন অনেক খাবারই আমরা রোজ খাই, যা আমাদের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে। তাই, কিছুক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন জরুরি। অঙ্কুরিত মটরশুটি খাবেন না: ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার তিন মূর্তি ই-কোলাই, সলমোনেল্লা ও লিস্টেরিয়া- তিনটেই উপস্থিত অঙ্কুরিত মটরশুটিতে। ২০১১ সালে জার্মানির একদল গবেষক অঙ্কুরিত মটরশুটির মধ্যে এই তিন ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি জানতে পারেন। ২০ জনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে তারা চিহ্নিত করেন অঙ্কুরিত মটরশুটিতে থাকা ই-কোলাইকে। আবার ইন্দোনেশিয়ার মানুষজনের বদ্ধমূল ধারণা, পুরুষদের শুক্রাণুকে মেরে ফেল অঙ্কুরিত মটরশুটি। যে কারণে বীর্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায়। যদিও এ বিষয়ে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। কাঁচা কাজুবাদাম: আমরা দোকান থেকে যে কাজুবাদাম কিনি, তা আসলে রোস্টেড। গাছ থেকে পাড়া কাঁচা কাজু ভুলেও খাবেন না। তাতে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। নানা পদ্ধতির মধ্য দিয়ে কাঁচা কাজুকে খাওয়ার উপযোগী করে নেওয়া হয়। কাজুতে উরুসিয়ল নামে বিশেষ এক ধরনের বিষাক্ত টক্সিন থাকে। যা থেকে ত্বকের নানা মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ পদ্ধতিতে স্টিম দিয়ে কাঁচা কাজু থেকে সেই বিষ দূর করে রোস্ট করা হয়। চিনাবাদামেও ঝুঁকি আছে: চিনাবাদামও মৃত্যুর কারণ হতে পারে! যাদের চিনাবাদামে অ্যালার্জি নেই নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। তবে, না গিলে ভালো করে চিবিয়ে খাবেন। কিন্তু, অ্যালার্জির ধাত থাকলে, একদমই নয়। ফুড অ্যালার্জির মধ্যে চিনাবাদাম থেকে মৃত্যুর ঘটনাই সবচেয়ে বেশি। যদিও, সমীক্ষা বলছে, মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশের চিনাবাদামে অ্যালার্জি রয়েছে। চিংড়ি হোক বা কাঁকড়া: বড় বড় চিংড়ি বা কাঁকড়া দেখে লোভ সামলাতে পারেন না মানছি। কিন্তু, নিয়মিত না-খাওয়াই শরীরের জন্য মঙ্গল। শুধু চিংড়ি-কাঁকড়াই নয়, ঝিনুক-শামুক খাওয়ার সময়েও মাথায় রাখতে হবে। কারণ, মার্কারি বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বিশেষত, যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে, এ ধরনের ‘শেলফিশ’ এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নইলে চুলকানি, আমবাতের মতো সমস্যায় ভুগতে হবে। পেটেব্যথাও হতে পারে। আর ‘অ্যানাফাইল্যাকটিক শক’ হলে তো কথাই নেই। দ্রুত চিকিত্সা না-করালে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কাঁচা দুধে চুমুক নয়: বিজ্ঞাপনে ভুললেন কী মরলেন। বাজারে ছাড়ার আগে পাস্তুরায়ন করা হয়েছে, ঠিক আছে। আপনি দুধের প্যাকেট বাড়িত এনে, নিজের সাবধানতার জন্য না-ফুটিয়ে খাবেন না কখনোই। এমনকী গোয়ালার কাছ থেকে যে দুধ তাজা মনে করে নিচ্ছেন, তা-ও ভালো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। কারণ দুধের মধ্যে সলমোনেল্লা, ই-কোলাই, লিস্টেরিয়ার মতো মারণ ব্যাক্টেরিয়া রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রায় ভালো করে কয়েক বার না- ফোটালে, দুধ থেকে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
Post Top Ad
Responsive Ads Here

Tags
# স্বাস্থ্য
Share This

About News Desk
স্বাস্থ্য
Labels:
স্বাস্থ্য
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.